ছানোয়ার হোসেন বাদশা জলঢাকা,নীলফামারী প্রতিনিধি
অনিয়ম, দূর্নীতির অভিযোগ তুলে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার ১ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন ইউপি সদস্যরা।
লিখিত অভিযোগে জানাযায় জলঢাকা উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহম্মেদ হোসেন ভেন্ডারের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন ইউপি সদস্যরা ।
একইসঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যরা বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বালাগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করেছেন।
এর আগে সদস্যরা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে সভা করে চেয়ারম্যান আহম্মেদ হোসেনের ভেন্ডারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দাখিলের সিদ্ধান্ত নেন। পরে তারা এই সিদ্ধান্তের অনুলিপি জেলা প্রশাসক সহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে প্রেরন করেন।
এই অনাস্থা প্রস্তাবে সাক্ষর করেছেন– ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান মিলন,শ্রী শরৎ চন্দ্র রায়,মোসলেম উদ্দিন,রফিজুল ইসলাম, আব্দুর রশিদ হিরু চৌধুরী, মুকুল চন্দ্র অধিকারী,শ্যামল চন্দ্র রায়, রেবেকা সুলতানা,মোসফেকুজ্জামান ফিকু,মোফাজ্জল হোসেন।
ইউপি সদস্যদের অভিযোগ, ২ বছর ২৬ দিন সময়ের মধ্যে চেয়ারম্যান আহম্মেদ হোসেন ভেন্ডার নানা অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। একাধিকবার সতর্ক করার পরও তিনি অনিয়ম করে যাচ্ছেন। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের সভাপতি হয়ে কাজ সম্পন্ন না করেই চেয়ারম্যান নিজে ওইসব প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন।
চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর হতে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ফেয়ার প্রাইস এর আওতায় ২৫৪১ জন সুবিধাভোগীর নিকট হতে পরিষদের ট্যাক্স বাবদ জনপ্রতি ২০০ টাকা হারে ৫লাখ ৮হাজার ২শত টাকা উত্তোলন করে আত্নসাৎ করেছেন বলে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের দাবি এই টাকা আত্মসাতের সঙ্গে কোনও সদস্য জড়িত নেই। চেয়ারম্যান আহম্মেদ হোসেন ভেন্ডার নিজে সরকারি টাকা উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় না করে আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া পরিষদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সদস্যদের সমন্বয় না করে চেয়ারম্যান একক সিদ্ধান্তেই সব কার্যক্রম চালান।’
এ বিষয়ে চেয়ারম্যন আহম্মেদ হোসেন ভেন্ডারের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান পরে কথা হবে বলে লাইন কেটে দেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি আর সারোয়ার বলেন, অনাস্থা প্রস্তাব পেয়েছি,তবে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।’
Leave a Reply