মোহাম্মদ আলী সানু, নিজস্ব প্রতিনিধি,,,,,,,,,,,
নীলফামারী ডিমলা উপজেলা ৭ নং খালিশা চাপানী এলকায় প্রায় দশ দিন যাবত একজন অপরিচিত ভারসাম্যহীন মহিলা পাওয়া গেছে । এলাকাবাসী বলেন সে সবার বাড়ীতে খেতে চায়না।যাকে ভালো লাগে তার বাড়ীতে চেয়ে খায়।পুরুষের আনা গোনা দেখলে আচল দিয়ে মুখ ঢেকে চলাচল করে। বাড়ী ঘরের ঠিকানা বলতে পারেনা। কখনো বলে কুমিল্লা কখনো বলে বগুরা। সে তরকারী কে আনাস। তার দেশে কালাই বেশি আবাদ হয়, ছেলে ৩ জন মেয়ে ২ জন। ছেলে দোকান করে ইত্যাদি প্রলোপ বকে।
এমতাবস্থায় গত ২৬ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারী২০২২ ইং দুই দিনে মহিলাটি শীত জনিত কারণে অসুস্থ্য হয়ে পরে। তা দেখে এলাকাবাসী ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান সরকার ওরফে কেন্জুল কে অবগত করান।
তিনি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেন কে অবগত করেন এবং তাদের যৌথ পরামর্শে অ্যাম্বুলেন্স দ্বারা গ্রাম পুলিশ সুবাস চন্দ্র রায়, এলাকাবাসী সবুর আলী এরশাদুল হক, দুলু ইসলাম, নুর আমীন,জমিলা বেগম, নবিজন বেগম, রাশেদা বেগম,জরিনা বেগম সম্রাট বাবর সহ অনেকের সহায়তায় ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
২৮ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় মহিলাটিকে দেখতে নির্বাহি অফিসার বেলায়েত হোসেন ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান সরকার ওরফে কেন্জুল,সমাজসেবা কর্মকর্তা নুরুন নাহার নূরী। এতে তার অবস্থার উন্নতি হলে সমাজ সেবা অধিদপ্তর কর্মকর্তা নুরুন নাহার নুরীর সার্বিক তত্বাবধানে ১ মার্চ নির্বাহীপরিচালক গ্লোরি সমাজ উন্নয়ন সংস্থা হাসিনা নগর বদরগঞ্জ রংপুরে চেয়ারম্যানের আর্থিক সহায়তায় প্রেরন করা হয়।
এ ব্যাপারে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রাশেদুজ্জামান বলেন রোগীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে মেন্টালিটি যে সমস্যা মেন্টাল হাসপাতালে চিকিৎসা করলে আশা করা যায় ভালো হবে। এ মহুতি উদ্যোগ দেখে এলাকাবাসী বলেন মানুষ মানুষের জন্য তা আজ হারে হারে উপলদ্ধি করতে পেরেছি। তাদের এ মহুতি উদ্যোগ এলাকাবাসী মনে রাখবে। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান বলেন তিনি তার প্রিয়জনদের নিকট ফিরে যাক এটাই কামনা করি।
Leave a Reply