1. tistanewsbd2017@gmail.com : Tista24 :
May 9, 2024, 2:59 pm

দায়িত্ব ফিরে পেয়েই ফের দূর্নীতির অভিযোগে পড়লেন ইউপি সচিব

Reporter Name
  • Update Time : Monday, February 19, 2024
  • 19 Time View

মোঃ জাহিদ হাসান, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে দূর্নীতির অভিযোগে সাময়িক ১ বছর বরখাস্ত থাকার পর দূর্নীতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন রমনা মডেল ইউনিয়নের সচিব মিনারুল হক দোলন। কিন্তু দায়িত্ব নিতে না নিতেই ফের ওই সচিবের বিরুদ্ধে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পাওয়ার আশায় টাকা দেয়া ভুক্তভোগী পরিবার ঘর না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)  বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। রাম চন্দ্র দাস নামে এক ব্যক্তি ভুক্তিভোগী পরিবারদের পক্ষে এ লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ ওয়ারী এলাকার রাম চন্দ্র দাস, নাছিমা বেগম, আনিছুর রহমান, জিয়াউর রহমান, মকবুল হোসেন, স্বপন কুমার বর্মন ও ফাইদুল ইসলামের কাছ থেকে রমনা মডেল ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মিনারুল হক দোলন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর দেয়ার আশ্বাসে গত ৩০ মার্চ ২০২২ সালে মোট ১ লক্ষ টাকা নেন। কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও টাকা দেয়া ভুক্তভোগী পরিবার ঘর না পেয়ে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এর আগে ২০ জানুয়ারি ভুক্তভোগী পরিবাররা অভিযুক্ত সচিব মিনারুল হক দোলনের থানাহাট বাজারস্থ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে টাকা ফেরত চাইতে গেলে টাকা না দিয়ে উল্টো তাদের ভয়ভীতি দেখান বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগকারী রাম চন্দ্র দাস বলেন, ঘর দেয়ার কথা বলে ১ লক্ষ টাকা নিয়ে আমাদেরকে ঘর দেননি। উল্টো ঘরের কথা বললেই আমাদেরকে ওই সচিব হুমকি ধামকি প্রদর্শন করেন। তাই নিরুপায় হয়ে প্রতিকার পেতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি।
বক্তব্য পেতে অভিযুক্ত রমনা মডেল ইউপি সচিব মিনারুল হক দোলনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
রমনা মডেল ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম আশেক আকা বলেন, সচিব মিনারুল হক দোলন পরিষদে যোগদান করেছেন। আনীত অভিযোগের বিষয়ে আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও) মিনহাজুল ইসলাম অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ২০২২ সালে ২১ সেপ্টেম্বর অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের ঘটনায় কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের স্থানীয় সরকার শাখা থেকে প্রেরিত কারণ দর্শানোর চিঠির জবাব দেন সচিব মিনারুল হক দোলন। কিন্ত এতে ওই ইউপি সচিবের সন্তোষজনক জবাব না হওয়ায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) কর্মচারী বিধিমালা ২০১১ এর ৩৪ এর (খ) এবং ৩৪ এর (ঙ) মোতাবেক তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করে । যার নং- ছিল ০৬/২০২২। পরে তাকে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) কর্মচারী বিধিমালা ২০১১ এর ৪০(১) ধারা অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 Jaldhaka IT Park
Theme Customized By LiveTV