1. tistanewsbd2017@gmail.com : Tista24 :
May 17, 2024, 11:20 am

নীলফামারীতে গচ্ছিত জামানত ও পি.এফ এর টাকা উদ্ধারের দাবীতে প্রোন অফিস ঘেরাও।

Reporter Name
  • Update Time : Thursday, May 2, 2024
  • 8 Time View
আল-আমিন, নীলফামারীঃ
নীলফামারীতে “দারিদ্র বিমোচন সংস্থা” (প্রোন) এ গচ্ছিত জামানত ও পি.এফ এর টাকা আত্নসাতের অভিযোগ উঠেছে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক মোঃ মমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (০২ মে/২৪) সকালে সংস্থাটির কর্মকর্তা কর্মচারীরা কর্মস্থলে গেলে অফিসের মুল গেটে তালা ঝুলানো দেখতে পায়।
তালা বন্ধ থাকায় চাকুরীর নিশচয়তা না পাওয়ায় গচ্ছিত জামানত ও পি.এফ এর টাকা উদ্ধারের দাবীতে অফিস ঘেরাও করেন তারা। সেখানে দীর্ঘ সময় অতিক্রম করার পরে নির্বাহী পরিচালকের সাথে মুঠোফোনে বহুবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে ব্যর্থ হয়। তাই গচ্ছিত জামানত ও পি.এফ এর টাকা উদ্ধারের দাবীতে জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগও করেন সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
খবর পেয়ে সদর উপজেলার কুখাপাড়া এলাকায় অবস্থিত প্রোন এর প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় মুল গেইটের ভেতর থেকে তালা দেওয়া। বাহিরে প্রায় ত্রিশ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী অফিসের ভেতরে প্রবেশের জন্য অপেক্ষা করছেন।
তথ্য মতে, সংস্থাটি স্থাপিত হয় ২০০৪ সালে। রেজিঃ নং-নীলঃ পৌর ২৯৫/২০০৭। এই সংস্থার আওতায় মূলত শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। নীলফামারী সদরে তিনটি শাখায় প্রায় ২শত স্কুল রয়েছে এবং টেংগনমারী, জলঢাকা, ডোমার,ডিমলা, চিলাহাটিসহ বিভিন্ন জায়গায় মোট ১ হাজারেরও বেশী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এই প্রোনের। প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেতনের আওতাভুক্ত। বেতন নেওয়া হয় শ্রেণীভেদে ১শত ৮০ থেকে ২শত টাকা পর্যন্ত।
সেখানে অফিসের হিসাব রক্ষক আরফাতারা আমিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে “দারিদ্র বিমোচন সংস্থা” (প্রোন) এ কাজ করছি। চাকুরীর শুরুতে আমাদের কাছে ১৫ হাজার টাকা জামানত নেওয়া হয় এবং প্রতি মাসে বেতন থেকে কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ডেও টাকা জমা দেওয়া হয়েছে। আজ তিনি অফিসে তালা ঝুলিয়ে নিরুদ্দেশ। আমরা অফিসের ভিতরে প্রবেশ করতে পারছি না।
সংস্থাটির কর্মসূচী সংগঠক গোলাম রব্বানী, প্রদীপ রায়, ম্যানেজার মোঃ রেজোয়ানুল হক রেজাসহ অনেকে বলেন, আমরা এই সংস্থায় বিভিন্ন পদে কর্মরত আছি। এখানে প্রত্যেকেরই ৫০ হাজার থেকে শুরু করে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমা হয়েছে কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ডে। সেইসাথে আমাদের মূল্যবান সময়ও দিচ্ছি এই সংস্থার সাথে। একটা সময় আমাদের মনে হয়েছিলো আমরা স্থায়ীভাবে এখানে চাকুরী করতে পারবো। কিন্তু হটাৎ করে আজ অফিসে তালা দেখে আমরা অবাক। আমাদের তো পরিবার আছে। আবার এতোগুলো টাকা জমা আছে তাদের কাছে। আমরা এখন কি করবো ভেবে পাচ্ছি না? তাই আমাদের দাবী যেন দ্রুত আমাদের সব পাওনা টাকা পরিশোধ করা হয়। না হলে আমাদের চাকুরীর নিশ্চয়তা দিতে হবে।
সংস্থার পরিচালক মমিনুর রহমানের সহধর্মিনী নাছরিন বেগমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি জানুয়ারী মাস থেকে ভাড়ার একটি টাকাও পাইনি তাই গেইটে তালা দিয়েছি।
তার স্বামী বাড়িতে আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার স্বামি মমিনুর রহমান বাসায় নেই। তার ফোনও বন্ধ।
প্রোনের পরিচালক মোঃ মমিনুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
এবিষয়ে জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, আমার কাছে অভিযোগ আসেনি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 Jaldhaka IT Park
Theme Customized By LiveTV