ব্যুারো প্রধান, রাজশাহী বিভাগ: মো: রাকিব,
নওগাঁয় মিথ্যা অপহরন মামরার শিকার হয়েছে আকাশ ও ইমন। গত ১৫-০৫-২০২৩ ইং তারিখে মো: সাদেকুল ইসলাম বাদী হয়ে মোকাম নওগাঁ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল নং-০১ তার মেয়ে মোছা: সাদিয়া খাতুন কে অপহন করা হয়েছে বলে মামলা দাখিল করেন। মামলা নং- ১৫৭/২৩(না:শি) ঐ মামলায় ৩ জনকে আসামী করেন। নিন্দইন গ্রামের মো: আব্দুল মজিদ এর ছেলে মো: আকাশ হোসেন, একই গ্রামের মো: ফজলুল হক এর ছেলে মো: ইমন আলী, উত্তরা কামারপাড়া ঢাকা, গ্রামের মো: দুলাল মিস্ত্রী এর ছেলে মো: হাসান আলী সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে আসামী করে আদালতে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করছেন নওগাঁ জেলা পুলিশ ব্যুরো অব ইভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সরজমিনে বাদীর বাড়িতে গেলে বাদীকে পাওয়া যায় নাই মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি কল ধরেন নাই। ২ নং সাক্ষী মো: নজরুল ইসলাম এর সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন আকাশ হলো আমার নাতনি মোছা: সাদিয়ার স্বামী ছিলো, আমার নাতনি আকাশকে তালাক দিয়ে ঢাকাতে হাসান নামের ছেলেকে বিয়ে করেছে, আমার নাতনিকে অপহরন করা হয় নাই, সে হাসানের সঙ্গে ঘর সংসার করছে। ৩ ও ৪ নং সাক্ষী মোছা: মুঞ্জুয়ারা ও মোছা: সেলিনা বলেন মোছাঃ সাদিয়া আকাশকে ছেড়ে দিয়ে ঢাকাতে হাসান নামের ছেলেকে বিয়ে করে ঘর সংসার করছে। সাদিয়াকে কেউ অপহরন করে নাই। ৫ নং সাক্ষী মো: জালাল উদ্দিন বলেন আমি সাদিয়াকে অপহরন করেছে কিনা তা কিছুই আমি জানিনা। ১নং সাক্ষীর সঙ্গে সরাসরি ঢাকায় দেখা করলে মোছা: সাদিয়া বলেন আমার পূর্বের স্বামী আকাশ ছিলো, আমি স্ব-ইচ্ছায় আকাশকে তালাক দিয়ে মো: হাসানকে বিয়ে করে ঘর সংসার করছি। এমতাবস্থায় আমার বাবা আমাকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যায়। বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আমাকে বলে তুমি হাসানকে ছেড়ে দাও কিন্তু আমি রাজি না হলে আমার বাবা বিভিন্ন ধরনে কথা বলেন আমি তখন আমার স্বামী মো: হাসান এর সঙ্গে যোগাযোগ করে ঢাকায় চলে আসি। ঢাকায় চলে আসার পর আমার বাবা আমার পূর্বের স্বামী মো: আকাশ হোসেন ও তার ছোট ভাই মো: ইমন আলী এবং আমার বর্তমান স্বামী মো: হাসান আলী কে সহ অপহরন মিথ্যা মামলা দেয়। আমার বাবা আমাকে নিয়ে যে মামলা করেছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট শুধু হয়রনি করার জন্য এই মিথ্যা মামলা করেছে। ১নং আসামীর সঙ্গে সরাসরি দেখা করলে তিনি বলেন মোছা: সাদিয়া আমার স্ত্রী ছিলো সে গত ০৯-০৩-২০২৩ ইং তারিখে ঢাকায় হেমায়েতপুর কাজী অফিসে গিয়ে আমাকে তালাক দেয়, আমি তালাকের নোটিশ পেয়েছি। আমার একটি মেয়ে সন্তান আছে মোছা: রিফা মুনি(০২) তাকে ফেলে হাসার নামের ছেলের সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করেন এবং তারা ঘর সংসার করছে। । আমার ও ছোট ভাই এর নামে যে অপহরন মামলা করা হয়েছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট শুধু আমাদের হয়রানী ও পেরেশানী করার জন্য। ২নং আসামী মো: হাসান আলীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলে জানা যায় যে, তিনি বলেন আমি সাদিয়াকে ভালোবাসি তাই সাদিয়া ও আমি এই ভালোবাসা রক্ষা করার জন্য সাদিয়া তার পূর্বের স্বামী মো: আকাশ কে তালাক দিয়ে সাদিয়া আমাকে বিয়ে করে। আমরা বিয়ে করে ঢাকায় ঘর সংসার করছি সাদিয়াকে কেউ অপহরন করে নাই আমার শশুর আমাকে মেনে না নিতে পারায় আগের স্বামী মো: আকাশ ও তার ছোট ভাই ইমন সহ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপহরন মামলা করেন, যা সত্য নয় শুধু হয়রানী ও পেরেশানী করার জন্য। আকাশ দাবী করে বলেন বাদী মিথ্যা মামলা করেছেন তাই বাদীর শাস্তি দাবী করছি।
Leave a Reply