জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
নীলফামারী জলঢাকায় তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের নির্মানাধীন ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ঝুকিপূর্ণ ভবন এখন মাদকের আড্ডায় পরিনত হয়েছে। এতে করে যেমনি এলাকার উঠতি বয়সের যুবকেরা মেতে উঠছে ভয়ানক নেশায়, তেমনি ক্ষুন্ন হচ্ছে এলাকার ভাবমূর্তি। ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন বাজার হওয়ায় মাদক সেবনকারী নেশাগ্রস্ত যুবকেরা উক্ত বাজারের পার্শ্বে পরিত্যক্ত ইউনিয়ন পরিষদের ভবনে প্রবেশ করে মাতলামি করে ঝগড়া বিবাদ, চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ মুলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পরেছেন। ফলে ইউনিয়ন পরিষদসহ বাজারের সম্মান ও ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে যেমনি, তেমনি এ নিয়ে সাধারণ মানুষদের মনে দেখা দিয়েছে ক্ষোপ প্রতিক্রিয়া। দীর্ঘ ২ যুগ পূর্বে তৎকালীন পরিত্যক্ত ইউনিয়ন পরিষদ অফিসকে ঝুকিপূর্ণ হিসেবে আখ্যায়িত করলেও ভবনটি সংস্কার কিংবা নিলামে ডাক দিয়ে আমুল পরিবর্তন করার কোন কার্যকারী পদক্ষেপ গ্রহণ এখনও করেনি উপজেলা প্রশাসন। ভবনটি এভাবে দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে থাকায় সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের কোন কাজেই আসছে না। স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক নির্দেশ প্রদান করলে ইউনিয়ন পরিষদের ওই ঝুকিপূর্ণ ভবনটির স্থানে ব্যাপক উন্নয়ন মুলক কর্মপরিকল্পনা গ্রহন করলে বাজারটি আরও সৌন্দর্যবোধ হতে পারে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিমত। রোববার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে এমন দৃশ্যের আবির্ভাব। এমনি দৃশ্যপটটি হলো উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদের ঝুকিপূর্ণ পরিত্যক্ত ভবনের। পরিষদের সচিব মামুনার রশীদ জানান, পরিষদের মোট ১ একর ৪ শতক জমি। এর মধ্যে পুরনো এই ঝুকিপূর্ণ ভবনটি প্রায় ৭ শতক জমির উপর নির্মানাধীন রয়েছে। অপরদিকে ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য এজাহারুল ইসলাম মেম্বার জানান, ব্রিটিশ সরকারের সময় এটি নির্মিত হয় এবং স্বাধীনতার পর ওই ভবনটিতে তৎকালীন দাঁড়ি কাজী নামে চেয়ারম্যান সাহেব ইউনিয়ন পরিষদ (বোর্ডঘরটি) কাঞ্চন অফিস হিসেবে ব্যবহার করতো। পরে ঝুকিপূর্ণ ভবন ভেবে ইউনিয়ন পরিষদের জন্য একটি টিনসেট ঘর তৈরী করে সেখানে পরিষদের কাজকর্ম করেন তৎকালীন ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ। ১৯৮৫ সালে ওই ঝুকিপূর্ণ ভবনটিতে আখের আলী নামের একজন বি.এস কৃষি অফিসার পরিবারসহ বসবাস শুরু করেন এবং ১৯৯১ সালে ভবনটিতে ধস সৃষ্টি হলে ওই কৃষি অফিসার পাশে একটি কমিউনিটি ক্লিনিকে চলে যান। সেই থেকে অদ্যাবদি সময় পর্যন্ত এটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে থাকতে দেখা যায়। বর্তমানে পরিত্যক্ত এ ভবনটিতে মাদক সেবনকারীদের আড্ডায় পরিনত হয়। ব্যবসায়ী দ্বিনবন্ধু রায় জানান, ওই পরিত্যক্ত ভবনটিতে মাদক (গাঁজা) সেবন করে আর সেই দুর্গন্ধযুক্ত ধোঁয়া বাজারে প্রবেশ করে ফলে বাজারের সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘœতা সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে বর্তমান শৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান (জামান) জানান, এই ঝুকিপূর্ণ ভবনটিতে মাদক সেবনকারীদের আনাগোনা রীতিমতো বৃদ্ধি হওয়ায় এলাকার ভাবমূর্তিসহ পরিষদের সম্মান নষ্ট হচ্ছে। তাই আমি উপজেলা প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট আমার আহ্Ÿান থাকবে যাতে আমার ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন ওই ঝুকিপূর্ণ ভবনটি নিলামের মাধ্যমে ভেঙ্গে ফেলার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এ ভবনটি ভেঙ্গে ফেললে যেমনি পরিষদের প্রসস্ত হবে তেমনি মরণ নেশা থেকে বাঁচবে আমার ইউনিয়নের যুবকেরা
Leave a Reply