ডিমলা নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
সততা, নিষ্টা সৃষ্টাচরিতা ও নম্রতা এই শ্লোগান করে নীলফামারী ডিমলা উপজেলা ৬ নং নাউতারা ইউনিয়ন নাউতারা বাজার বনিক সমিতির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার রাতে নাউতারা আবিউন নেছা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ঠিকাদার ও ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন মুকুল এর সভাপ্রধানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান আশিক ইমতিয়াজ মোর্শেদ মনি। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডিমলা থানা অভিসার ইনচার্জ লাইছুর রহমান।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন, সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মিন্টু, সাইফুল ইসলাম লেলিল,বিশিষ্ট সমাজ সেবক আঃ রশিদ স্বপন, নাউতারা হাট বনিক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি ও তৃপ্তি বেকারি প্রোফাইটার রফিকুল ইসলাম (অপি) বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আঃ লতিফ প্রমূখ।
সভায় বক্তাগণ বলেন, নাউতারা শুধু নাউতারা নয়,যার নাম ছিল নাউতারা বন্দর, আর এক নাম ছিল টেপার হাট,কালের আবর্তমানে আমরা অনেক কিছু হারিয়েছি, তার অতীতের ইতিহাস, গৌরবের ইতিহাস, এর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নাউতারা নদী যা পারাপারে এক সময় নৌকা ব্যবহার করতাম, তৎকালীন সিনিয়র মন্ত্রী বর্ষীয়ান জননেতা মরহুর মশিউর রহমান যাদু মিয়া দেয়া স্টীল ব্রীজ নির্মাণের ফলে নাউতারা হাট গড়ে উঠেছিল বানিজ্যিক হাট হিসেবে। বর্তামান স্থানীয় সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার এর দেয়া ব্রীজটি নির্মাণ হওয়ায় ব্যবসায়ীরা ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রাণ খুঁজে পেয়েছে। এ প্রাণ কে জীবিত রাখার জন্য সকলকে সর্বাক্ত চেষ্টা করতে হবে।
এ ছাড়াও নাউতারা ভৌগোলিক অবস্থার দিক থেকে এখানে রয়েছে স্কুল, কলেজ,সরকারি অদাসরকারী,ইনজিও সহ অনেক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান।
এসময় প্রধান অতিথি হাটটির গঠন প্রক্রীয়া, কাঠামোগত পরিমাপ, সকল প্রকার মাদক,জুয়া, বদ নেশা পরিহার করার কথা বলেন এবং প্রতিটি দোকানে একটি
করে লাইট জ্বলে রাখার পরামর্শ প্রদান করেন। তিনি আরো বলেন, ইনশাআল্লাহ আগামী ৪০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে সিসি ক্যামরার আওতায় হাটটিকে নিয়ে আশা হবে।আমরা পরিষদ থেকে তা স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহন করেছি। ব্যবসায়ীর উদ্দেশ্য তিনি বলেন, আমি আজ আছি কাল নাও থাকতে পারি।তার পরও আমি সর্বদা নাউতারার হারানো ইজ্জত ফেরানোর ব্যাপারে সর্বাত্ত চেষ্টা করব।আমি নাউতারার মাঠি ও মানুষের সঙ্গে সেতুবন্ধন হিসেবে থাকবো।
এতে প্রধান আলোচক থানা ইনচার্জ লাইছুর রহমান বলেন, আমাদের সম্পদ আমাদের রক্ষার দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। নাইট গার্ড এর সংখ্যা বৃদ্ধি করবেন, তাদের বেতন ভাতার প্রতি লক্ষ্য রাখবেন। নিরাপত্তা প্রহরীর ব্যাপারে তারা তাদের সঠিক দায়িত্ব পালন করছেন কিনা তা লক্ষ করবেন।যুগপৎ পদক্ষেপ তথা সিসি ক্যামরা স্থাপনে সম্মানিত চেয়ারম্যান সাহেব যে মহতি উদ্যোগ নেয়ায় তাঁকে এবং তাঁর পরিষদ বর্গকে সাধুবাদ জানাই। ব্যবসার ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট তৈরি করবেন না এবং
কৃষির ক্ষেত্রে সিন্ডকেট করবেন না। প্রশাসনিক সকল সহযোগিতা পাবেন। এর জন্য সর্বস্তরের ব্যবসায়ীকে এক ও অভিন্ন হৃদয়ের মানুষ হিসেবে সকলকে ঐক্য মতের তিক্তিতে থাকার আহবান জানান তিনি।
Leave a Reply