আব্দুল মোমিনঃ নীলফামারী,,,,,,,,,
এ যেন এক ফুলের রাজ্য, এখানে এলে যে কারো মন আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে উঠবে। সবুজে ঘেরা প্রকৃতির মাঝে শোভা পাচ্ছে হলুদ রঙের সূর্যমুখী ফুল। নীলফামারী সদর উপজেলার কুন্দুপুকুর ইউনিয়নের গুড়গুড়ি ব্লকে প্রাকৃতিক স্বর্গ সৃষ্টি করে দাঁড়িয়ে আছে সূর্যমূখী ফুল বাগান। সূর্যমূখীর বাগান থাকায় এখানে দর্শনার্থীদের পদচারণা বেড়েছে। মাঠে কৃষকের স্বপ্ন সূর্যমূখী ফুলে রঙিন হয়েছে। নীললফামারী সদর উপজেলায় প্রথমবারের মতো ব্যাপক হারে সূর্যমূখী চাষ করেছে স্থানীয় চাষিরা। সূর্যমূখী বিক্রি করে এবার কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে বলে আশা স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। নীলফামারী সদর বাণিজ্যিকভাবে সূর্যমূখী চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা দেখছেন কৃষি কর্মকর্তারাও। এই ফুল চাষে লাভের সম্ভাবনা বেশি বলেও জানিয়েছেন তারা। উপজেলার বিভিন্ন সূর্যমুখী প্রদশর্নী জমিতে গিয়ে দেখা যায়, হলুদ ফুলের সমাহারে এক নয়নাভিরাম দৃশ্য। আশপাশের মানুষজন বিকালবেলায় স্বজনদের নিয়ে সূর্যমুখী প্রদশর্নীতে ভিড় জমাচ্ছেন। গত ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকে সংশ্লিষ্ট কৃষি অফিস থেকে বীজ সংগ্রহ করে চাষ শুরু করেছেন কৃষকরা। নীলফামারী সদর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান বলেন , একটি পরিণত সূর্যমুখী ফুলের গাছ ৯০ দিন থেকে ১১০ দিনের মধ্যেই কৃষকরা বীজ ঘরে তুলতে পারবেন। যদি প্রাকৃতিক দূর্যোগে কোন প্রকার ক্ষতি না হায় তাহলে প্রতি বিঘা জমিতে ৬ থেকে ৬.৫ মণ সূর্যমূখী ফুলের বীজ পাওয়া যাবে। ১মণ বীজ থেকে ১৫-১৮ কেজি তেল পাওয়া যাবে। সূর্যমূখীর তেল ছাড়াও খৈল দিয়ে গাবাদিপশু, মাছের খাবার এবং গাছ জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা যায়। নীলফামারী উপজেলার কুন্দুপুকুর গ্রামের কৃষক আরিফ আহমদ জানান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার দেয়া পরামর্শে প্রথমবারের মতো ১৭ বিঘা জমিতে আমার কয়েকজন কৃষক পাশাপাশি সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছি। কৃষি অফিস থেকে আমাদেরকে বিনামূল্যে বীজ ও সার দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রতিটি গাছে ফুল ধরেছে। ভাল ফলনে আমি আশাবাদী। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, সূর্যমুখী ফুল থেকে কোলেস্টেরল মুক্ত তেল উৎপাদন করে ক্ষতিকর পাম অয়েল ও সয়াবিনের স্বাস্থ্যঝুকি থেকে রক্ষা পাবে মানুষ। চলতি বছরে নীলফামারী সদর উপজেলা ৩৭৫ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের বিনামূল্যে সূর্যমুখীর সার ও বীজসহ নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply