মোঃ এমদাদুল হক, তিস্তা টিভি,,,,,
নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায়, বিয়ে বাড়িতে মাংস দিতে বলতেই কনে পক্ষের লোক খেপে যায়,সেখানকার পরিবেশ উত্তাপ্তো হলে এক পর্যায় মারামারির ঘটনা ঘটে, এতে বরের বাবাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কনে পক্ষের বিরুদ্ধে ।
(০৩ মার্চ) শুক্রবার দিবাগত রাত ১০ টায় জলঢাকা পৌরসভার বগুলাগাড়ি ৫ নং ওয়াড আমরুল বাড়ি এরশাদের বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নুরু মিয়া মৃত্যঃ অবর উদ্দিন এর ছেলে, উত্তম বাওয়াই পাড়ার হাজির হাট রংপুর এলাকার বাসিন্দা।
এ বিষয়ে জলঢাকা উপজেলার, বগুলাগাড়ী ৫ নং ওয়ার্ড আমরুল বাড়ি এরশাদের বাজার এলাকার আনোয়ার উল্লাহ র মেয়ে সুলতানা আক্তার জান্নাতির সাথে বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়। নিহত নুরু মিয়ার ছেলে জোনাব আলীর সাথে, কয়েকদিন আগে । শুক্রবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৮. ৩০ মিনিটে বরযাত্রী চলে আসে কনের বাড়িতে। বিয়েতে ১২০ জন বরযাত্রী আসার কথা থাকলেও কনে পক্ষের দাবি ১৫০ থেকে ২০০ জন বরযাত্রী বিয়েতে আসে।
খাওয়ার সময়, হাতাহাতির বিষয়ে জানতে চাইলে বরযাত্রী আজিজুল ইসলাম এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমরা প্রথমে ৮২ জন খেতে বসছিলাম, খাওয়া শেষ পর্যায়ে আমাদের মধ্যে একজন বলেছিল এখানে একটু মাংস দিয়েন এ বিষয়টি কেন্দ্র করে কোথা থেকে যে কয়েক জন এসে মারপিট শুরু করে, বরেড় দুলাভাইকে সহ বরযাত্রীদের কে। পাশে চেয়ারে বসে থাকা বরের বাবা নুরু মিয়াকে পিছন দিক থেকে কে যেন চেয়ার দিয়ে একটি মাইর দেয় সেখানেই সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকে। পরে জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভ্যান যোগ নিয়ে যায়। এ বিষয়ে, কর্তব্যরত ডাক্তার মো মাহাদি হাসান এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়। তাৎক্ষণিক বিয়ে অনুষ্ঠান থেকে ৯৯৯ এ ফোন দিলে সেখানে জলঢাকা থানার পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিবেশ শান্ত করে, নিখোঁজ হওয়া বরও বরের দুলাভাই সহ সকলকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। রাতে কনের বাবা আনোয়ার উল্লাহ ও বাবলু নামের দুই ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ঘটনার পর বাড়ি থেকে পালিয়েছে কনের পরিবারের বাকি লোকজন।
জলঢাকা থানা অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ কবীর এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন জোনাব আলী বাদী হয়ে, আসামি ৯ জন ও অজ্ঞাত নামা ৮/১০জন আসামি করে মামলা দায়ের করেন, মামলা নাম্বার-০৪-
০৪ /০৩/২০২৩
ধারা-৩০২/৩৪
গ্রেপ্তার করা হয় ১নং আসামি আনোয়ার উল্লাহ ও ২নং আসামি বাবলুকে, বাকি আসামীদেরকে গ্রেফতার করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মৃত্য ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে । পিটিয়ে হত্যা কিনা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে যানা যাবে।
Leave a Reply