মোঃ জাহিদ হাসান, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার হাতিয়া গণহত্যা দিবস পালন কমিটির আয়োজনে হাতিয়া গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কালো পতাকা অর্ধনমিতকরণ, হাতিয়া ইউনিয়নের দাগারকুটি গণহত্যা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথী হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক এম এ মতিন, বিশেষ অতিথী হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি অধ্যক্ষ আহসান হাবিব রানা, জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য মতি শিউলী, উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও হাতিয়া ইউনিয়ন শাখা আওয়ামীলীগের সভাপতি শাইখুল ইসলাম নয়া প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ১৩ নভেম্বর পাক-হানাদার বাহিনী, তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আল-বদর,আল-সাম্স বাহিনীর সহযোগীতায় আত্মগোপন করা মানুষগুলোকে ধরে নিয়ে এসে দাগারকুঠি গ্রামে সারিবদ্ধ করে নির্দয় ভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়। তাদের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ থেকে সেদিন মায়ের কোলের শিশুটিও রক্ষা পায়নি। সারাদিন ব্যাপী চলে হানাদার বাহিনীর হত্যা আর অগ্নিসংযোগ। আগুনে পুড়ে যায় অনন্তÍপুর,দাগারকুটি,হাতিয়া বকশী, রামখানা, নয়া দারাসহ আশপাশের গ্রামের শতশত ঘর-বাড়ী। মহুর্তে গ্রামগুলো পরিনত হয় ধ্বংস স্তুুপে। সেদিন পাক হানাদার বাহিনীর ও তাদের দোসর রাজাকার,আল-বদর, আল-সাম্স বাহিনীর সহযোগীতায় উপজেলা হতে ৮কিঃ মিঃ পুর্বে ব্র্রক্ষ্রপুত্র নদ বেষ্ঠিত হাতিয়া দাগারকুটি গ্রামে ৬ শত ৯৭ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে গুলি করে হত্যা করে।
Leave a Reply