স্টাফ রিপোর্টার, মোঃ রাকিবঃ
শীতের প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে নওগাঁ সদর হাসপাতালে বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা। ডাইরিয়া, নিউমোনিয়া, স্বর্দি, কাশিসহ শ্বাসজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছে শিশু ওয়ার্ডে। স্থান সংকুলান না হওয়ায় ওয়ার্ডের মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে এক রোগের জন্য চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আক্রান্ত হচ্ছে আরও অন্য রোগে অভিযোগ রোগীর স্বজনদের। আর চিকিৎসকরা বলছেন শিশুকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপশি শীত যাতে না লাগে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
জেলা সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স জুই আক্তার বলেন, নওগাঁ জেলা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে শয্যা সংখ্যা মাত্র ১২টি। কিন্তু এখানে শিশু রোগী ভর্তি আছে অর্ধশতাধিক। তাই এক শয্যায় ৩ থেকে ৪টি অসুস্থ্য শিশুসহ হাসপাতালের মেঝেতে রয়েছে রোগী। ডাইরিয়া, নিউমোনিয়া, স্বর্দি, কাশিসহ শ্বাসজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন গরে ২৫ টিরও বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছে এই হাসপাতালে।
রোগীর স্বজনদের অভিযোগ হাসপাতালের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ আর মেঝের ঠান্ডার কারনে এক রোগের চিকিৎসা নিতে এসে আক্রান্ত হচ্ছে অন্য রোগে।
শীত জনিত কারনে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বর্তমানে বেড়েছে শিশু রোগীর সংখ্যা। শিশুদের পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি শীত যাতে না লাগে সেদিকে নজর রাখার পরামর্শ দিলেন চিকিৎসক।
নওগাঁ সদর হাসপাতাল এর শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা: আব্দুস সাত্তার বলেন, এই শীতে অতিরিক্ত ঠান্ডার কারনে শিশুড়া অতি দ্রত ঠান্ডায় আক্রান্ত হয়ে ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে । তিনি শিশুর অবিভাবকদের সচেতন থেকে বাচ্চাদের যাতে ঠান্ডা না লাগে এবং ঘর থেকে বাহিরে বের না করার পরামর্শ দেন।
আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত), ডাঃ আনসার আলী বলেন,হাসপাতাল মূলত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হলেও এই শীতে প্রতিদিনই হাপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে চিকিৎসা দিতে যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে।
শুধু জেলা সদর হাসপাতালেই নয় বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও প্রাইভেট ক্লিনিক গুলোতেও বেড়েছে শিশু রোগীর সংখ্যা।
Leave a Reply