1. tistanewsbd2017@gmail.com : Tista24 :
March 28, 2024, 3:56 am

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বৃষ্টির পানিতে ধসে যাচ্ছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর

Reporter Name
  • Update Time : Wednesday, July 14, 2021
  • 296 Time View

 

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
বছর না ফিরতেই বৃষ্টির পানিতে ধসে যাচ্ছে কোটি টাকা ব্যায়ে নবনির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর গুলি। কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের চরফেসকা বাবদ হাতিয়া বকসী আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে এমন ঘটনা ঘটেছে। ঘর নির্মানের আগে মাটি ভরাটের স্থলে বালু কাটা এবং নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা না নেয়ায় বৃষ্টির তোরে ঘরের মাটি ধসে পড়েছে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের আওতায় আশ্রয়ণ প্রকল্প-২এর অধিনে উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের চরফেসকা এলকায় ২০১৯-২০অর্থ বছরে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের তত্ত্বাবধানে একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পে মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন করা হয়। চরফেসকা বাবদ হাতিয়া বকসী আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাটি ভরাট বাবদ বরাদ্দ দেয়া হয় ৭০০ মে.টন গম। মাটি ভরাটের কাজ শেষে সেখানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকট হস্থান্তর করেন স্থানীয় প্রশাসন। পরবর্তীতে রংপুর সেনানিবাসের ৬৬পদাতিক ডিভিশনের বাস্তবায়নে ৪৮টি ব্যারাক নির্মানে সহায়তা করে মের্সাস হাওলাদার এন্টারপ্রাইজ,বরিশাল। প্রতিটি ব্যারাকে ৫টি পরিবার থাকতে পারে এমন ৪৮টি ব্যারাক ২৪০পরিবারের জন্য নবনির্মিত আশ্রয়ণ কেন্দ্রটি গত কয়েকমাস আগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী স্থানীয় প্রশাসনের নিকট হস্থান্তর করে।পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় গৃহহীন ২৪০পরিবারের মাঝে ঘরগুলি বরাদ্দ দেয়া হয়। চলতি বর্ষা মৌসুমে কয়েকদিনের বৃষ্টিতে একটি ব্যারাকের ১টি রুম ধ্বসে গেছে এবং অপর ২টি ব্যারাকে ধ্বস দেখা দিয়েছে। ঘর নির্মানের আগে মাটি ভরাটের স্থলে বালু কাটা এবং নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা না নেয়ায় বৃষ্টির তোরে ঘরের মাটি ধ্বসে পড়ছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
সোমবার সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, আশ্রয়ণ কেন্দ্রের বিভিন্ন স্থানের মাটি সরে গিয়ে ধসের সৃষ্টি হয়েছে। মৃত-বছির উদ্দিনের স্ত্রী অহিতন বেওয়ার (৫০)নামে বরাদ্দ দেয়া ঘরটির নিচের মাটি সরে গিয়ে তার ঘরটি ধসে পড়ে গেছে। ওই ব্যারাকের অপর দুই ঘরের বাসিন্দা নজির হোসেনের পুত্র জয়নাল আবেদীন(৪৭) ও আবু তালেবের পুত্র রুহুল আমিন(৪৫) ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। পাশ্ববর্তী দুইটি ব্যারাকের নিচের মাটি সরে যাওয়ায় ব্যারাক দুটি ঝুকির মুখে রয়েছে। যে কোন সময় ধ্বসে যেতে পারে এমন আশঙ্কায় ভোলা চন্দ্র(৬০), বিমল চন্দ্র(৫৫) ও রতন ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। এসময় সাহিদা(৫৭),জয়নাল(৬৫)সহ অনেকে অভিযোগের করে বলেন,বৃষ্টির শুরুতেই ঘরে ধস দেখা দিয়েছে না জানি পরে কি হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার কোহিনুর রহমান বলেন,অতিবৃষ্টির কারনে এমন সমস্যা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুর রহমান বলেন, সরেজমিন দেখে এসেছি এবিষয়ে সংশ্লিটকে জানানো হবে।এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 Jaldhaka IT Park
Theme Customized By LiveTV