1. tistanewsbd2017@gmail.com : Tista24 :
October 22, 2024, 12:44 am

উলিপুরে বাড়ছে শীতজনীত রোগ

Reporter Name
  • Update Time : Sunday, January 14, 2024
  • 54 Time View

মোঃ জাহিদ হাসান, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের উলিপুরে পৌষের শেষে শীতের তীব্রতার সঙ্গে বেড়েই চলছে শীতজনিত রোগ ডায়রিয়া ও শাসকষ্ট । ঘন কুয়াশা ও তীব্র ঠান্ডায় বেশীর ভাগই আকান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত ১৩ দিনে প্রায় শতাধিক ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্ট রোগী ভর্তি হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা বর্হিবিভাগে চিকিৎসা নিয়েছে আরো প্রায় তিন শতাধিক। এছাড়াও অনেকে বিভিন্ন ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র, বেসরকারি হাসপাতাল ও পল্লী চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছে। চিকিৎসকদের পরামর্শপত্র ছাড়াও ওষুধের দোকানগুলোতে সারাদিন ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডায়রিয়া রোগীর চাপ সামলাতেও হিমশীম খাচ্ছেন। ডায়রিয়া ও শিশু ওয়ার্ড না থাকায় রোগীদের মেঝে ও বারান্দায় বিছানা পেতে থাকতে হচ্ছে।
হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, গত ১ জানুয়ারি থেকে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছে শতাধিক। এসব রোগীর মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি। অনেকেই সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে এবং অনেকেই নতুন করে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। প্রতিদিন হাসপাতাল ছাড়ছে ১০-১৫ জন, নতুন ভর্তি হচ্ছে ৭-৮ জন।
ভিন্ন উপজেলা থেকেও রোগীরা এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে ভর্তি হচ্ছে। এদের মধ্যে তীব্র ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ছুয়া (১৩ মাস) এসেছে চিলমারীর বজরা তবকপুর ও মুয়াজ (৯ মাস) এসেছে চিলমারীর রানীগঞ্জ ফকিরের হাট গ্রাম থেকে। রুহান (৮ মাস), সিয়াম (১১ মাস), সায়মা (১বছর), সাব্বির (১১ মাস) ও তাজমিন (১৮ মাস)। এদের মধ্যে বশির হাবিব নামের একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। রোগীর সাথে থাকা অভিভাবকদের দাবী, দ্রুতই ডায়রিয়া ও শিশু ওয়ার্ড দরকার। উলিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে রোগী ও স্বজনদের দূর্ভোগের চিত্র দেখা গেছে। দায়িত্বরত কতৃপক্ষ জানায় ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ঠ ও সর্দিজ্বরে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন গড়ে শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। শয্যা সংকটের কারণে অনেককে মেঝে ও বারান্দায় রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তারপরেও তারা চকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। পৌরসভাস্থ পশ্চিশ শিববাড়ী গ্রামের আব্দুল হালিম (৯০) চারদিন আগে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছেন বর্তমানে সুস্থ আছেন। চিলমারী উপজেলার রানীগঞ্জের রোজিনা এসেছেন শ্বাসকষ্ট নিয়ে, তিনিও এখন অনেকটা সুস্থ। এসব রোগীর অভিভাবকরা জানান, আগের চেয়ে চিকিৎসার মান অনেকটা ভালো হয়েছে।
হাসপাতালের ওয়ার্ডে চিকিৎসা সেবায় দায়িত্বে থাকা সিনিয়র স্টাফ নার্স দিলারা জাহান দিনি এবং মিড ওয়াইফ ফাহমিদা আক্তার জানান, আমাদের হাসপাতালে শয্যা বাড়ানোসহ দ্রুতই শিশু ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা জরুরি। রোগীরা যেভাবেই হাসপাতালে থাকুক না কেনো তাদের চিকিৎসার কোন ত্রুটি হচ্ছে না।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মেশকাতুল আবেদ জানান, ১৯৮২ সালের পুরাতন বিল্ডিংটিতে ৩১ শয্যার ব্যবস্থা ছিল। ধীরে ধীরে ৫০ শয্যায় রুপান্তরিত হয়েছে। ভারী শীতের কারণে ডায়রিয়া এবং শ্বাসকষ্টজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। শিশু ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা উর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে বারবার জানিয়েই যাচ্ছি তারাও আশা দিচ্ছেন দ্রুতই সব ব্যবস্থা হবে। তিনি আরো জানান, সীমিত জনবল দিয়ে হলেও আমরা রোগীদের যথাসাধ্য চিকিৎসা সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 Jaldhaka IT Park
Theme Customized By LiveTV