আবার ব্যবসায়ীরা বলছেন, হঠাৎ বৃষ্টির কারণে জমিতে অনেক তরমুজ নষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। লোকসানের ভয়ে কৃষকরা পরিপক্ক হওয়ার আগেই তরমুজ বাজারে তুলছেন। তাই আগের তুলনায় দাম অনেকটা কম। আবার দাম কমে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ না উঠায় অনেক কৃষক তরমুজ তুলছেন না। তাই এখন জমিতেই পঁচে যাচ্ছে তরমুজ। এধরণের সমস্যার কারণে বিপাকে পড়েছি আমাদের মত ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীরা।
উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের ঘোলদার পাড় এলাকা থেকে তরমুজ ক্রয় করতে আসা আনিছুর রহমান (৩৫) বলেন, রমজানের শুরুতে তরমুজের দাম বেশি থাকায় তখন কিনতে পারিনি। এখন যদিও অর্ধেক দামে নেমেছে তারপরও তরমুজ কেনার প্রতি আগ্রহ নেই। তার পরেও একটা তমুজ ৩৫ টাকা কেজি দরে ক্রয় করলাম।
থেতরাই ইউনিয়নের হারুনেফড়া এলাকা থেকে তরমুজ ক্রয় করতে আসা নুপুর আক্তার বলেন, রমজানের শুরুতে দাম বেশি থাকায় তরমুজ দিয়ে ইফতার করিনি। আবার ফেসবুকে দেখেছি তরমুজ বয়কট করো। বয়কট করার কারণে এখন তরমুজের দাম অর্ধেকে নেমেছে। তাই আজ ৩৫ টাকা কেজিতে একটা তরমুজ ক্রয় করলাম।
পৌর শহরের গবার মোড় এলাকার তরমুজ বিক্রেতা শ্রী উজ্জ্বল সরকার বলেন, গত কয়েক দিন ধরে ফলটির দাম কমেছে। তরমুজের আমদানি বেশি হওয়ায় তরমুজের দাম কমেছে। বেচাকেনা বেশি না থাকায় দামটা পাওয়া যাচ্ছে না। আদমদানি বেশি হলে দাম আরও কমবে বলেও জানান এই বিক্রেতা।
এনামুল হক নামের আরেক তরমুজ বিক্রেতা বলেন, ক্রেতাদের আগ্রহ কম থাকায় তরমুজের বেচাকেনা খুব কম। গত সপ্তাহ ধরে ক্রেতা কম থাকায় দাম কমেছে। তবে তরমুজের আগে আমদানি কম ছিল যার কারণে তখন দাম কিছুটা বেশি ছিল। এখন আমদানি বেশি দামও কমেছে প্রায় অর্ধেক তার পরেও ক্রেতা নেই।
পাইকেরিতে তরমুজ বিক্রেতা হবিবর রহমান (৫৫) বলেন, রমজানের শুরুতে তরমুজের দাম বেশি থাকায় আমদানি কমেছিল। এখন তরমুজের দাম অর্ধেকে নামলেও আশানুরূপ হচ্ছেনা বিক্রি। তিনি জানান, গত বছর ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি থাকলেও ক্রেতার উপছে পড়া ভীড় দেখা গেছে। এবার তার উল্টো হয়েছে। রমজান মাস তরমুজ বিক্রির হিরিক পড়ে যেতো। দিনে তরমুজ বিক্রি হবার কথা ছিলো ৮০ থেকে ৯০ মণ। এখন দিনে বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২০ থেকে ৩০ মণ। যা অর্ধেকেরও কম। তাতে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে সকল তরমুজ ব্যবসায়ীদের।
Leave a Reply