জাহাঙ্গীর রেজা, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
সারা দেশের সাথে নীলফামারীর ডিমলাও যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়েছে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ। মঙ্গলবার উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে প্রথমে উপজেলার বিজয় চত্তরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ও শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। পরে শহীদ মিনারের পাদদেশে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়েছে।
পরে ডিমলা বিজয় চত্ত্বরে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের তাৎপর্য ও সংগীত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সেই প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা বক্তব্যে বলেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বাঙালি জাতির জীবনে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এদিনে ঢাকার রমনায় অবস্থিত রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) অনুষ্ঠিত এক বিশাল জনসভায় দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯ মিনিটের এক জাদুকরী ভাষণে বাঙালি জাতিকে স্বপ্নে বিভোর করেছিলেন। ভাষণে তিনি স্বাধীনতার যে ডাক দিয়েছিলেন, তা বাঙালির মনে সারাজীবন অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়ে থাকবে। তৎকালীন শোষিত, বঞ্চিত, মুক্তিকামী ও লাঞ্ছিত জনগণকে আন্দোলনের ডাক দেওয়া তাঁর ঐতিহাসিক সেই ভাষণে সাড়া দিয়েছিলেন লাখ লাখ জনতা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আফতাব উদ্দিন সরকার।
এসম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বাবু নীরেন্দ্র নাথ রায়, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. আয়শা সিদ্দীকা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেকেন্দার আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু, ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লাইছুর রহমান প্রমুখ।
অন্যান্যদের ডিমলা সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোকলেছুর রহমান, ডিমলা টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুস সালামসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা পরিষদের সকল দপ্তরের প্রধান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
দিবসটি উপলক্ষে বাদ জোহর মসজিদে সকল বীর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত এবং সন্ধ্যায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী, চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষন প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
Leave a Reply