নবিজুল ইসলাম নবীন, নীলফামারী প্রতিনিধি,
মাদক বিরোধী অভিযানে গিয়ে চলতি মাসের ১১ ফেব্রুয়ারি নীলফামারীর সৈয়দপুর থেকে ২০টি অবৈধ স্বর্ণের বারসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে ১৫টি বার উদ্ধারের খবর গণমাধ্যমকর্মীদের জানালেও মামলা করার সময় এজাহারে ২০টি স্বর্ণের বারের কথা উল্লেখ করেন বাদী ডিএনসি পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম। ফলে ওই অভিযানে উদ্ধার হওয়া স্বর্ণের বারের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে সচেতন মহলে। তাই হিসেবের অংক মেলাতে তদন্তে ডিএনসি’র সংস্লিষ্টতা পায় সৈয়দপুর থানা পুলিশ। এই ঘটনায় সংস্থাটির সেপাই মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করা হলে সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে পাঁচ দিনের রিমান্ড দেন জেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১১ ফেব্রুয়ারি সকালে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের কামার পুকুরে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করার সময় ২০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান দল। এ সময়ে ঢাকা থেকে পঞ্চগড়গামী যাত্রীবাহী নাবিল পরিবহন থেকে দুই জনকে গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে সৈয়দপুর থানায় মামলা করেন ডিএনসির ওই পরিদর্শক। স্বর্ণের বারসহ গ্রেপ্তাররা হলেন, মানিকগঞ্জের গোবিন্দল সিংগাইর এলাকার সুমন আলীর ছেলে আব্দুর রহিম (২৭) ও একই এলাকার নুরুল্লাহর ছেলে মোহাম্মদ উল্লাহ (২৬)। এই ঘটনার তদন্তে জব্দ করা স্বর্ণের বারের সংখ্যার অসঙ্গতি পাওয়ায় ডিএনসির ১০ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সৈয়দপুর থানা পুলিশ। পরে সেপাই মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। নীলফামারী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিরুল ইসলাম জানান, মূল দুই আসামির গ্রেপ্তারের পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জব্দ স্বর্ণের বারের সংখ্যার সাথে অসঙ্গতি পাওয়ায় মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত চলমান আছে। বাকি যারা জড়িত আছে সকলকেই আইনের আওতায় আনা হবে।
Leave a Reply