মোঃ আতিকুল ইসলাম আতিক,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ ২৬ মার্চ ২০২২ইং তারিখে সম্মানিত জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট খন্দকার ইয়াসির আরেফীন মহোদয় “মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২২“ উপলক্ষে সূর্যদ্বয়ের সাথে সাথে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। এছাড়ও বঙ্গবন্ধু ম্যূরালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমানসহ বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক এবং পেশাজীবি সংগঠন পুষ্পমাল্য অর্পন করেন। পুষ্পমাল্য অর্পন শেষে সকল মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরনে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এদিকে সারা জেলায় দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়। এর পর ৮.৩০ মিনিট নীলফামারী বড় মাঠে কুচকাওয়াজ, প্যারেড, বয়স্ক মুক্তিযোদ্ধাদের দৌড় প্রতিযোগীতা এবং বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সর্বস্তরের জনগণ অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা জেসমিন নাহার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের নেতৃবৃন্দ, এবং জেলা, পৌর, উপজেলা শাখার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল এবং নীলফামারীর এলজিইডি, সড়ক ও জনপদ বিভাগ, গণপূর্ত, জনস্বাস্থ্য, পানি উন্নয়ন বোর্ড, সোনালী ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, ষ্টান্ডার্ড ব্যাংক, নীলফামারী প্রেস ক্লাব, জেলা রিপোর্টাস ইউনিটি,বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব, বাংলাদেশ তৃনমূল সাংবাদিক কল্যান সোসাইটিসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিড়িয়ার সাংবাদিকবৃন্দ সহ শহরের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এদিকে নীলফামারীর ডোমারে মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগ স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সন্তানের হাতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার প্রতিবাদে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা জাতীয় পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠান বর্জন করে মাঠ ত্যাগ করে চলে যান। সেই মুহুর্তে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে বাকবিতর্ক ও হট্রগোলের কারনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনে বিলম্ব হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের দাবী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তোফায়েল আহম্মেদ স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সন্তান!!! তাই তার হাত দিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করার দাবী জানিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধারা সহ তাদের পরিবার বর্গ। এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তোফায়েল আহম্মেদ বলেন-“সাবেক কমান্ডার নুরনবী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমার সাথে ভোটে পরাজিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারনা চালাচ্ছে“। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা শবনম, ডোমা্র থানার অফিসার্ ইনচার্জ মহোদয় এই প্রতিবেদককের সাথে উক্ত ঘটনার বিষয়ে কথা বলতে বা মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়।
অপর দিকে জেলার ডিমলা, জলঢাকা , সৈয়দপুর, কিশোরগঞ্জ উপজেলায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়।
Leave a Reply