মাংস হাতে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে মীরগঞ্জ আশ্রয়ণের বাসিন্দা ইসমাইল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর যেসব উপহার আসে তা ইউএনও স্যার নিজ হাতে আমাদের মাঝে বিতরণ করেন। ঈদের আগে নগদ টাকা ও কাপড় পেয়েছি। আজ পেলাম মাংস । আমরা অভাবের কারণে অনেক সময় মুখে ভাত ওঠে না। এখানে এসে অনেক সুবিধা পাচ্ছি। এসব আমরা কখনো কল্পনাও করি নাই, এখন যেন স্বপ্ন দেখছি।
খারিজা গোলনা আশ্রয়ণ প্রকল্পের লাভলী, সহ আরো অনেকে জানান, হামার ইউএনও স্যারের সবার সাথে রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও যেন আত্মার সম্পর্ক তৈরি করেছেন । এমন স্যার যদি থাকে হামার মতো আশ্রয়ণের মানুষেরা কোনো সমস্যা হবে না
শিমুলবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হামিদুল হক বলেন, আশ্রয়ণের প্রত্যেক বাসিন্দাদের আছে জীবনকাহিনি। আমাদের ইউএনও স্যার ধৈর্য ধরে সবার কথা শোনেন। তাই সবার কাছে স্যার হয়েছেন প্রিয় ও আপনজন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব হাসান বলেন, জনগণের জন্য প্রশাসন। তাদের সেবার জন্য আমরা সর্বদা তৎপর। যার বাস্তব উদাহরণ প্রায় প্রত্যেকের দরজার কড়া নেড়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হাতে তুলে দিচ্ছি। আর সেবা দিতে গিয়ে কেউ ভালো বলবে কেউবা মন্দ বলবে এটাই স্বাভাবিক।
কোরবানির মাংস বিতরণের সময় সঙ্গে ছিলেন ইউএনও-পত্নী ফারজানা সুলতানা পলি, ধর্মপাল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জমিনুর রহমান, কৈমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবু, গোলনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুল আলম কবির, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান স্টালিন, ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান হাবি, তবিবর রহমান, সাংবাদিক আবেদ আলী প্রমুখ
Leave a Reply