গ্রীষ্মের প্রখর তাপে নীলফামারীর জলঢাকার
জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
সূর্যের প্রচন্ড তাপ আর বাতাস যেন আগুনের ছোঁয়া। সকাল থেকেই সূর্য তেঁতে থাকে এবং বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তাপমাত্রাও বাড়তে থাকে।
মাহে রমজানের এমন একটি অবস্থায় প্রাণীকূল ও জনজীবনে উঠেছে চরম হাঁস ফাঁস।
মানুষ আকাশের দিকে দুই চোখে চেয়ে থাকে একটু বৃষ্টির আশায়। এমন আবহাওয়ার মাঝে প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে ভাইরাস জ্বর, পেটের পীড়া সহ বিভিন্ন রোগ।
এবার গ্রীষ্মের শুরু থেকেই প্রখর রোদের তাপে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। গৃহপালিত পশু-পাখিরা গরম থেকে একটু শীতল স্বস্তি পেতে পুকুর বা ডোবায় নেমে বসে আছে।
তাপদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। কষ্টের শেষ নেই খেটে খাওয়া দিনমজুর শ্রমিকদের। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পুকুর সহ ক্যানেলের পানিতে লাফালাফি করতে দেখা যায় ছেলেদের।
জলঢাকা বাজারের কয়েকজন অটো, রিকশা ভ্যান চালক ও গ্রামের কৃষক সহ ধান কাটা, ভুট্রা ভাঙ্গা শ্রমিকরা জানান, সংসারের খাবার সংগ্রহের জন্য রোদ কি আর ঝড় বাদল কি! কাজ না করলে অনাহারে থাকতে হবে।
এদিকে, গরমে ও রোজায় এ সময়ের বাজারে তরমুজর চাহিদা থাকায় বাজারে এখন দাম চরা।
জলঢাকা বাজারে আসা ক্রেতা শাম্মি আক্তার এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘৪/৫ দনি আগে যে তরমুজ ১৩০ টাকা থেকে ১৫০ টাকায় কিনেছিলাম এখন সে তরমুজের মূল্য হয়েছে ২০০ / ২৫০ টাকা।
তিনি আরও বলেন, ‘বাজারগুলো ভালো ভাবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মনিটরিং করা হয় তাহলে কেউ সিন্ডিকেট করতে পারবে না।’
উপজেলা উপ-স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত চিকিৎসক জানান, ‘এ আবহাওয়ায় এখন ভাইরাস জ্বর, পেটের পীড়া সহজ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ২০-২৫ জন করে এসব রোগী দেখছি।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেন, ‘গত কয়েক দিনের তাপপ্রবাহের কারণে খেটে খাওয়া দিনমজুরদের হিটস্ট্রোকের সম্ভাবনা রয়েছে। হাসপাতালে পেটের পীড়াজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। তবে রোগীদের মধ্যে বয়স্করা বেশি। রয়েছে ভাইরাস জ্বর ও জল বসন্তের রোগীও।’
তিনি আরও বলেন, ‘বেশি বেশি বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। সেই সঙ্গে করোনা প্রতিরোধে সকল স্বাস্ব্যবিধি মেনে চলতে হবে।’
Leave a Reply