কৃষি জমির উপর ইট ভাটা নির্মাণ, কৃষি জমির উপরি অংশের উর্বর মাটি ইট ভাটায় ব্যবহার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশ্বে ইট ভাটা নির্মাণ, পরিবেশে দুষণ, হাইকোর্ট নির্দেশ অমান্য। এস,আর,বি ইট ভাটার মালিক চুনু মাস্টারের পুত্র বৈধ ইট ভাটা বলে গণমাধ্যমে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন। গাইবান্ধায় ব্যাঙের ছাতার মতো অবৈধ ভাবে কৃষি জমির উপর গড়ে ওঠা ইট ভাটা গুলিতে প্রশাসনিক নজরদারি একেবারে কম হলেও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় একেবারে নেই বল্লেই চলে। অর্থ আর ক্ষমতার বলে, অবৈধ ভাবে ইট ভাটা নির্মাণ করে ব্যাপক পরিবেশের ক্ষতি করেই চলছে ইট ভাটা গুলি। ফলে জনগণসহ রাষ্ট্রের কয়েক দফা ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে এ ভাটা গুলো। কৃষি কর্মকর্তা সুত্রে জানা যায়, একটি ইট ভাটার কারণে বছরে কমপক্ষে ৫০০ মন ধান উতপাদন কমে যায়। এ ইট ভাটা গুলো কৃষি জমির উপর নির্মাণ, পাশাপাশি তাঁরা ইট তৈরির কাজে কৃষি জমির উপরি অংশের উর্বর মাটি ব্যবহার কারেন। ফলে কৃষি জমি উর্বরতা শক্তি হাড়িয়ে ফেলে, বিধায় কৃষক জমিতে ফসল ফলাতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। হাইকোর্ট নির্দেশে বলা আছে, ইট ভাটা নির্মাণ করতে হলে, কৃষি জমি ব্যবহার করা যাবে না, কৃষি জমির উপরি অংশের উর্বর মাটি ব্যবহার করা যাবে না, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশ্বে ইট ভাটা নির্মাণ করা যাবে না, পরিবেশ বান্ধব হতে হবে, পরিবেশ দুষুন করা যাবে না, ইত্যাদি। এমন নির্দেশ থাকা সর্থেও গাইবান্ধায় কৃষি জমির উপর ইট ভাটা নির্মাণ করে, পরিবেশ দুষুন করে সাধারণ জনগণসহ রাষ্ট্রের ব্যাপক ক্ষতি করেই চলছেন, অবৈধ ইট ভাটা গুলো। গতকাল শনিবার বিকালে, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হাতিয়া চৌরাস্তা মোড় হতে মজুমদার হাট রোডের আলমডাঙ্গা ব্রিজের পাশ্বে অবৈধ ভাবে গড়ে তোলা এস,আর,বি ইট ভাটায় গিয়ে দেখা যায়, ইট ভাটা সংলগ্ন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশ্বে ইট ভাটা নির্মাণ ও রাস্তার দু-পাশ্বে অবৈধ ভাবে মাটি ভরাট রাখার বিষয়ে কথা হলে, ভাটা মালিকের ছেলে, চ্যালেঞ্জ করে বলেন, তাদের ইট ভাটার পরিবেশ লাইসেন্স আছে, কৃষি কর্মকর্তার অনুমোদন আছে, এলজিডির অনুমোদন আছে, ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন আছে, এমনকি তাদের এস,আর,বি ইট ভাটা বিধি সম্মত ইট ভাটা বলে, সাংবাদিকের মাঝে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন। এ বিষয়ে উপজেলা এলজিডি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল মুনছুরের সঙ্গে কথা হলে, তিনি জানান তাঁর হাতে তিনি, কোন ইট ভাটায় ছাড়পত্র দেননি, এমনকি তিনি ছাড়পত্র বিষয়ে কিছুই জানেন না। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ, এর সঙ্গে কথা হলে, তিনি জানান, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সকল ইট ভাটাই অবৈধ, তিনি তাঁর দুই বছরের দায়িত্বে কোন ইট ভাটায় ছাড়পত্র দেননি, সেই সঙ্গে তিনি আরো জানান, কৃষি দেশে কৃষি উৎপাদনে একমাত্র বাধা হয়ে দাড়িয়েছে ইট ভাটা। ইট ভাটা এলাকার জমির ফসল বিষাক্ত তিতা হয়ে থাকে, এমনকি কৃষি জমির উর্বরতা হাড়িয়ে যায়, ফলে কৃষকের জমির ফসল কমে যায়, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। সাবেক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, গোলাম কিবরিয়া, মোঃ সোলাইমান আলী ও কাজি লুতফুল হাসানের সঙ্গে ইট ভাটা বিষয়ে কথা হলে, তাঁরা গণমাধ্যমকে জানান, সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় নির্মাণ কৃত ইট ভাটা গুলো বিধিসম্মিত নয়। অবৈধ ইট ভাটা, উচ্ছেদ বিষয়ে কথা হলে, তাঁরা বলেন, দ্রুত অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা ইট ভাটা গুলিতে অভিযান চালানো হবে। এমন ভাবে সময় ক্ষেপণ করার ফলে অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা ইট ভাটা গুলোকে আশ্রয় দেয়ার ফলে আজ সমাজে পরিবেশের ১২ টা বেজেছে। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন গড়ে ওঠা ইট ভাটা গুলিতে প্রশাসনিক ভাবে অভিযান পরিচানা করে, নিষিদ্ধ ইট ভাটা ঘোষণা করা উচিত বলে মনে করেন সচেতন মহল। সেই সঙ্গে, এস,আর,বি অবৈধ ইট ভাটার দখলকৃত জনসাধারণের সরকারী রাস্তার দু-পাশ দখল মুক্ত করা জরুরি। তা,না হলে যে কোন মর্হুতেই ব্রিজের সামনে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই জেলা প্রশাসকসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের সু-দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভ্যান চালকসহ পথচারী।
Leave a Reply