নীলফামারীর জলঢাকায় শীতের গরম কাপড় কিনতে ফুটপাতের দোকানগুলোয় ক্রেতাদের ভীর।
শীত এখনো পুরোপড়ি না পরলেও গত দুইদিনে প্রবাহিত ঠান্ডা হিমেল আবহাওয়া বয়ে যাওয়ায় নীলফামারীর জলঢাকা পৌর শহরের ফুটপাতে গরম কাপড়ের দোকান গুলোতে ক্রেতাদের ভীড় বেড়েছে। গত দুই দিনে আকাশে সূর্য্যের মুখ দেখা না যাওয়ায় শিশুদের নিয়ে বিপাকে পরেছেন অভিভাবকরা। শুক্রবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকান গুলোতে বয়স্ক মানুষের চেয়ে শিশুদের গরমের কাপড় বিক্রি হচ্ছে বেশী।
এ শীতের আগমন বার্তা উপল্বদ্ধি করা যায় ফুটপাতের গরম কাপড় বিক্রয়ের দোকান গুলোতে ।
গরম কাপড় বিক্রি হচ্ছে বেশী পৌর শহরের জিড়ো পয়েন্ট মোড়, বঙ্গবন্ধু চত্বর, বাসষ্ট্যান্ড এলাকা, ডালিয়া রোডের বেলতলা সহ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে। আরও এসব দোকান গুলোতে
গরম কাপড় কিনতে ক্রেতাদের সমাগম ছিল বেশী।
তবে পুরুষের চাইতে মহিলা ক্রেতা ছিল বেশি।
উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের গাবরোল থেকে আশা নাহার ( ২৮ ) জানান, দুই দিন ধরে সূর্য্য না উঠায় কনকনে ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় শিশুদের গরম কাপড় কিনতে এসেছি।। তাছাড়া রোদ না থাকায় বাচ্চাদের কাপড় শুকাতে পারছি না। । তাই কাপড় কিনতে আসা অল্প দামের এ সব গরম কাপড়ের দোকানে।
ডাউয়াবারী নেকবক্ত থেকে আশা গৃহবধূ রহিমা বেগম ( ৩০ ) জানান, বর্তমানে করোনা রোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় শিশুদের নিয়ে বিপাকে আছি। আর শীত বাড়ার কারনে বড়দের চাইতে শিশুদের গরম কাপড়ের বেশী প্রয়োজন । তাছাড়া ফুটপাতের দোকান গুলোতে কম দামে ভালো কাপড় পাওয়া যায়।
ফুটপাতের গরম কাপড় বিক্রেতা খায়রুল ( ৪৫) বলেন আমার কাছে সকল বয়সী মানুষের গড়মিল কাপর থাকায় সকল কাপড়েই বিক্রি হচ্ছে।
আতিক ( ২৮ ) নামের বিক্রেতা জানান, ঠান্ডা পড়তে শুরু করায়
বড়দের চাইতে শিশুদের কাপড় বিক্রি হচ্ছে বেশী।
অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের ধারনা গত বছরের চেয়ে এ বছর ব্যাবসা ভালো হবে।
তবে করোনা কালীন সময়ে ফুটপাতের পুরাতন এ সকল গরম কাপড় পরিধানে কতটা স্বাস্থ্য সম্মত সে বিষয়ে ধারনা নেই জনগনের। এ বিষয়ে উপজেলা হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার ডাক্তার চাহিদা হোক স্মৃতি এ প্রতিবেদকে জানান, ফুটপাতের গরম কাপড় ক্রয় করে গড়ম পানি সাবন দিয়ে ভালো করে কাপড় ধুয়ে রোদে শুকিয়ে পরিধান করতে হবে । এ বিষয়ে অবশ্যই জনসাধারনের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
Leave a Reply